বাল্য
- আর এম উৎস ০৮-০৫-২০২৪

বাল্যকালে একটি বালক এক বালিকার একলা থাকায় হানলো বাঁধা।
বালক তখন হাসতো হাসি বাল্যসুলভ, ভাবত, এসব চোখের ধাঁধাঁ।
বছর পেরোয় বালক ভাবে, বাল্যকালে কোন সে জালে আটকে গেছি।
সেই বালিকার বুকের ঘরে হৃদয় বলে, বালক নিয়ে সুখেই আছি।
এক বিকেলে বালুর বেলায় হঠাৎ বালক বলেই ফেলে, “পারছিনা আর”।
বিন্দু হাসি ঠোঁটের কোণে অশ্রু চোখে দু’এক ফোটা সেই বালিকার।
বালক ফেরে বাড়ির মুখে, বুকের ভেতর বাঁধভাঙা সুখ মুক্তি পাবার
আলতো আওয়াজ বাল্যকালের সেই বালিকার, “হয়তো দেখা হবেই আবার”।
বছর পেরোয় আগের মতই বিকেল আসে বালুর বেলাও হয়না বদল।
হঠাৎ কেন বালক মনে সেই বালিকার ব্যথার বাণী দেয় ক্ষীণ দোল!
ঐ ক্ষীণ দোল দিন গড়ালে তুফান তোলে, রাত্রি এলে ঘুমের বাঁধা।
বালক বোঝে, সেই বালিকার বিন্দু চোখের অশ্রু, সে নয় চোখের ধাঁধাঁ।
এক বিকেলে সেই সে বালক সেই সে বালুর ঢিবির ধারে অজান্তে যায়।
এক বালিকার অপেক্ষা, তার চোখের কোণে ঝিলিক তুলে পেছন ফেরায়।
এক ছুটে সে লুটায় মাথা সেই বালিকার পায়ের তরে বিলাপ বয়ে,
“বাল্যকালে ভুল করিনি হে বালিকা, ভুল করেছি বালক হয়ে”...

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।